প্রিয় ভাই ও বোন!
পরিপূর্ণভাবে দীন পরিপালনে কিসে
আপনাকে বাধা দিয়ে রেখেছে? আপনি যদি খাঁটি
দীনদারি জীবন যাপন করেন, তাহলে বহু
মুত্তাকি লোক আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাকে ভালোবাসবে। আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন-
পরিপূর্ণভাবে দীনের ওপর চলতে গেলে তো জাগতিক সুযোগ-সুবিধা ও আয়েশ-আরাম ছেড়ে দিতে
হবে। অথব বাস্তবতা এমনটি নয়।
ধরুন- উত্তম পোশাক পরা এবং পরিপাটিরূপে চলাফেরা করা আপনার পছন্দ। ভালো গাড়ি থাকুক, ভেতর-বাহির পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুক- এটা আপনি কামনা করেন। আপনি কি ভেবেছেন- দীনের ওপর চলতে গেলে এসব ছেড়ে দিতে হবে? কখনো নয়! এতে ইসলামের কোনো বাধা নেই। ইসলাম যেমন মানুষের আত্মার খোরাক জোগায়, তেমনি বাহ্যিক সৌন্দর্য অবলম্বনও এখানে কাঙ্ক্ষিত। রাসূলুল্লাহ সা. একদিন অহংকারের ভয়াবহতা বর্ণনা করছিলেন। সাহাবায়ে কেরামের মনে তখন সংশয়- তাহলে সুন্দর পোশাক সুন্দর জুতাও কি অহংকারের শামিল? তাদের একজন আল্লাহর রাসূলকে প্রশ্ন করলেন- মানুষ তো চায় তার কাপড়-চোপর সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক। (এটাও কি অহংকার?) রাসূলুল্লাহ সা. বললেন-
ধরুন- উত্তম পোশাক পরা এবং পরিপাটিরূপে চলাফেরা করা আপনার পছন্দ। ভালো গাড়ি থাকুক, ভেতর-বাহির পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুক- এটা আপনি কামনা করেন। আপনি কি ভেবেছেন- দীনের ওপর চলতে গেলে এসব ছেড়ে দিতে হবে? কখনো নয়! এতে ইসলামের কোনো বাধা নেই। ইসলাম যেমন মানুষের আত্মার খোরাক জোগায়, তেমনি বাহ্যিক সৌন্দর্য অবলম্বনও এখানে কাঙ্ক্ষিত। রাসূলুল্লাহ সা. একদিন অহংকারের ভয়াবহতা বর্ণনা করছিলেন। সাহাবায়ে কেরামের মনে তখন সংশয়- তাহলে সুন্দর পোশাক সুন্দর জুতাও কি অহংকারের শামিল? তাদের একজন আল্লাহর রাসূলকে প্রশ্ন করলেন- মানুষ তো চায় তার কাপড়-চোপর সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক। (এটাও কি অহংকার?) রাসূলুল্লাহ সা. বললেন-
إِنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ الْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَغَمْطُ النَّاسِ
‘নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য ভালোবাসেন। অহংকার হলো সত্য অগ্রাহ্য করা এবং মানুষকে তুচ্ছ মনে
করা।’
আপনি রাসূলের সাহাবীদের জীবনের
দিকে তাকান। দেখবেন- তাঁদের মধ্যে যাঁরা উত্তম পোশাক পরতেন, পরিপাটি হয়ে থাকতেন; রাসূলুল্লাহ সা. তাঁদের এই অভ্যাস খুব পছন্দ করতেন। হযরত রাসূলুল্লাহ সা.
একদিন মসজিদে ছিলেন। এমন সময় এক লোক এলো। লোকটির চুল ও দাড়ি ছিল এলোমেলো। তখন
রাসূলুল্লাহ সা. হাতের ইশারায় তাকে বেরিয়ে যেতে বললেন। তিনি এটাই বোঝাতে চাচ্ছিলেন, সে যেন তার মাথার চুল আর দাড়িগুলো ঠিক করে আসে। লোকটি মসজিদ
থেকে বেরিয়ে গেলো। চুল-দাড়ি ঠিক করে আবার ফিরে এলো। এরপর রাসূলুল্লাহ সা. বললেন-
أ أَلَيْسَ هَذَا خَيْرًا مِنْ أَنْ يَأْتِيَ أَحَدُكُمْ ثَائِرَ الرَّأْسِ كَأَنَّهُ شَيْطَانٌ
‘তোমাদের কেউ শয়তানের মতো এলোমেলো চুল নিয়ে উপস্থিত হওয়ার
চেয়ে এটি কি ভালো নয়?’
সাহাবী হযরত মালেক ইবনে নাযলা রা.-এর
ঘটনা। তিনি নিজেই বর্ণনা করছেন- একদিন আমি মসজিদে রাসূলুল্লাহ সা.-এর সঙ্গে বসে
ছিলাম। তিনি দেখলেন আমার গায়ে ছেঁড়াফাটা কাপড়। তখন তিনি জানতে চাইলেন- তোমার কি
অর্থসম্পদ আছে? আমি বললাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ! সব
রকম সম্পদই আমার রয়েছে। তিনি বললেন-
فَإِذَا آتَاكَ اللَّهُ مَالاً فَلْيُرَ أَثَرُهُ عَلَيْكَ
‘আল্লাহ যখন তোমাকে সম্পদ দিয়েছেন তাই এর চিহ্ন যেন তোমার
ওপর প্রকাশ পায়।’
এবার আপনি নববী যুগের আরেকটি ঘটনা
শুনুন- বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জাবের রা. বলেন- রাসূলুল্লাহ সা. একবার আমাদের বাড়িতে
এলেন। এক ব্যক্তির চুল উষ্কখুষ্ক দেখে বললেন- তার কি এমন কিছু নেই যার দ্বারা সে
তার চুল আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখতে পারে। আরেক ব্যক্তির কাপড় ময়লা দেখে বললেন- সে কি
তার কাপড় পরিষ্কার রাখার মতো কিছু পায় না?’
পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য অবলম্বনে
এই হলো ইসলামের শিক্ষা। প্রান্তিকতা ও বাড়াবাড়ি থেকে যারা মুক্ত থাকে, তাদের জন্যে এ বাহ্যিক সৌন্দর্যও ইবাদত ও পুণ্যের মাধ্যম
হতে পারে। আপনি তো ভালো করেই জানেন- পরিচ্ছন্নতা মানুষকে আকর্ষণ করে আর
অপরিচ্ছন্নতা কষ্ট দেয়। তখন সে তা থেকে মুক্তি পেতে চায়; নিজে তা থেকে দূরে সরে গিয়ে কিংবা তা দূরে সরিয়ে দিয়ে।
চুল-দাড়ি যদি উষ্কখুষ্ক থাকে তাহলে এমনি এক অপ্রীতিকর দৃশ্য সৃষ্টি হয়।
রাসূলুল্লাহ সা. নিজেও চুল
পরিপাটি করে রাখতেন। একবার নবীজীর সাথে
কিছু মানুষ দেখা করতে এলো। নবীজী তাদের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় একটি পানির
পাত্রের মধ্যে তাকিয়ে নিজের চুল-দাড়ি পরিপাটি করে নিলেন। ... নবীজী বললেন- ‘আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। যখন কেউ তার ভাইদের সাথে সাক্ষাতে যায়, সে যেন নিজেকে পরিপাটি করে নেয়।’
এবার আপনাকে আরেকটি ঘটনার দিকে
দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলবো-
عَنْ أَبِى الأَحْوَصِ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم فِىْ ثَوْبٍ دُوْنٍ فَقَالَ أَلَكَ مَالٌ. قَالَ نَعَمْ. قَالَ مِنْ أَىِّ الْمَالِ. قَالَ قَدْ أَتَانِىَ اللهُ مِنَ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ وَالْخَيْلِ وَالرَّقِيْقِ قَالَ فَإِذَا أَتَاكَ اللهُ مَالاً فَلْيُرَ أَثَرُ نِعْمَةِ اللهِ عَلَيْكَ وَكَرَامَتِهِ.
‘সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল আহওয়াস রা. তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন- আমি
রাসূলুল্লাহ সা.-এর দরবারে এলাম। তখন আমার পরনে ছিল অতি নিম্নমানের কাপড়। এটা দেখে
তিনি জিজ্ঞেস করলেন- তোমার কি সম্পদ আছে? আমি বললাম জ্বী, আমার সম্পদ আছে।
তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন- কি কি সম্পদ আছে? আমি বললাম- উট, গরু, ছাগল, ঘোড়া, গোলাম ইত্যাদি সবধরনের সম্পদই আল্লাহ আমাকে দান করেছেন। তখন
তিনি বললেন- যখন আল্লাহ তোমাকে সম্পদ দিয়েছেন তখন তোমার ওপর তাঁর নিয়ামতের নিদর্শন
থাকা চাই।’
অন্য বর্ণনায় এসেছে- রাসূলুল্লাহ সা.
বলেছেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার
বান্দার ওপর তার দেয়া নিয়ামতের নিদর্শন দেখতে পছন্দ করেন।’
আমার প্রিয় যুবক ভাইয়েরা!
দীনদারি জীবন যাপনের ক্ষেত্রে
আপনার সুন্দর সাজসজ্জা, পরিপাটি থাকা, উত্তম গাড়ি ব্যবহার করা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, যতোক্ষণ পর্যন্ত সেটি শরীয়তের সীমা অতিক্রম না করবে। যেমন
ধরুন- শরীয়ত পুরুষদের জন্য রেশমের কাপড় পরা ও স্বর্ণের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা
করেছে। আপনি তো আলহামদুলিল্লাহ কখনো রেশমের পোশাক বা স্বর্ণ পরেননি! কিভাবেই বা
আপনি তা পরতে পারেন? যেখানে
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন-
لاَ تَلْبَسُوا الْحَرِيْرَ فَإِنَّهُ مَنْ لَبِسَهُ فِى الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِى الآخِرَةِ
‘তোমরা রেশম পরিধান করো না। যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশম পরিধান
করবে, সে আখিরাতে তা
পরিধান করতে পারবে না।’ একবার রাসূলুল্লাহ সা. বেরিয়ে দেখলেন- তাঁর কাছে রেশমের কাপড় এবং স্বর্ণের
টুকরো। এ দেখে তিনি বললেন- ‘স্বর্ণ ও রেশমি বস্ত্র আমার উম্মতের নারীদের জন্য বৈধ এবং
পুরুষের জন্য হারাম।’
আমার ভাই!
আাপনি তো এমন পোশাক পরিধান করতেও
পছন্দ করেন না- যা নারীদের পোশাকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ আপনি জানেন- পুরুষের
পোশাক পুরুষোচিত আর নারীর পোশাক নারীর উপযোগী হওয়া একান্ত কাম্য। আপনার এ-ও জানা
আছে যে,
স্বভাবগতভাবেই পুরুষকে দেয়া হয়েছে শক্তি ও দৃঢ়তা। কারণ তার
কর্মক্ষেত্র হলো বাইরের জগত। পক্ষান্তরে নারী হলো কোমল ও কোমনীয়। মাতৃত্বের মমতা ও
নারীত্বের লাজ, নম্রতাই নারীর সৌন্দর্য। তাই
ইসলামী শরীআত নারী-পুরুষের জন্য ব্যবস্থা করেছে ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের। হযরত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- ‘আল্লাহ তাআলা সেই সব মহিলাদের ওপর অভিশাপ করেছেন যারা
পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং সে সকল পুরুষদের ওপর অভিশাপ যারা মহিলাদের বেশ ধারণ করে।’
আলহামদুলিল্লাহ! আপনার পোশাক তো
কখনো অপচয়ের পর্যায়ে পড়ছে না। পোশাক দ্বারা গর্ব ও অহমিকা প্রকাশ করাও আপনার পছন্দ
নয়। কারণ আপনার জানা আছে সেই হাদীসটি- যেখানে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধির পোশাক পরবে কিয়ামতের দিন
আল্লাহ তাকে লাঞ্ছনা ও আগুনের পোশাক পরিধান করাবেন।’
এ ব্যাপারে আপনার ভালো ধারণা আছে
যে,
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য বড়ো ধরনের
কোনো চেষ্টা-সাধনার প্রয়োজন নেই। এর জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চুল
পরিপাটি করা জরুরি নয়। আধুনিক ফ্যাশন ও নিত্য নতুন ডিজাইনে চুল রাখার জন্য বাথরুমে
অহেতুক সময় অপচয় করা আপনি কি ভালো দৃষ্টিতে দেখেন? নতুন ফ্যাশনের পোশাক পরার এমন কি প্রয়োজন? সুন্দর পরিপাটি হয়ে থাকার সাথে কি তার কোনো সম্পর্ক আছে? পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বনই হচ্ছে
উত্তম। ভালো মানুষেরা পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে অপচয় করে না, কার্পণ্যও করে না। অহেতুক এ কাজে সময় নষ্ট করে না। সহজেই
তারা পরিস্কার জামা-জুতা ও পবিত্রতার সাথে চলাফেরা করতে ভালোবাসে।
এরকম আরো লেখা পড়ুন-
একটি আবেদন
‘শান্তি ও মানবতার পথে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা ভাষায় মিডিয়ায় গবেষণা, প্রচার, দাওয়াহ প্রভৃতি কাজের আঞ্জাম দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সালাম মিডিয়া। সময়ের চাহিদায় একটি মানসম্মত অনলাইন রেডিও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। যার জন্য শুধু প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন। প্রথমত, আপনার দোয়া। দ্বিতীয়ত, আপনার সহযোগিতা আমাদের পথচলার পাথেয়। আপনি প্রবাসী হলে মাসে অন্তত দশ ডলার বা বাৎসরিক হিসেবে দশ হাজার করে নূন্যতম হারে হলেও আমাদের এই অগ্রযাত্রায় শরীক হতে পারেন। কিংবা একজন ব্যক্তিই সামর্থ অনুযায়ী আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন। এরকম অন্তত পঞ্চাশজন ব্যক্তি এগিয়ে এলে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের সহযাত্রী হোন...
আমাদের রয়েছে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল, শুধু নেই প্রয়োজনীয় অর্থবল। আপনার প্রতি এই আমাদের ছোট্ট আহ্বান। ০১৯২২৭৩০০০১ (তথ্য ও বিকাশ) বিস্তারিত পড়ুনঃ আমাদের কথা
ছবিটি জুম করে দেখুন
‘শান্তি ও মানবতার পথে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা ভাষায় মিডিয়ায় গবেষণা, প্রচার, দাওয়াহ প্রভৃতি কাজের আঞ্জাম দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সালাম মিডিয়া। সময়ের চাহিদায় একটি মানসম্মত অনলাইন রেডিও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। যার জন্য শুধু প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন। প্রথমত, আপনার দোয়া। দ্বিতীয়ত, আপনার সহযোগিতা আমাদের পথচলার পাথেয়। আপনি প্রবাসী হলে মাসে অন্তত দশ ডলার বা বাৎসরিক হিসেবে দশ হাজার করে নূন্যতম হারে হলেও আমাদের এই অগ্রযাত্রায় শরীক হতে পারেন। কিংবা একজন ব্যক্তিই সামর্থ অনুযায়ী আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন। এরকম অন্তত পঞ্চাশজন ব্যক্তি এগিয়ে এলে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের সহযাত্রী হোন...
আমাদের রয়েছে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল, শুধু নেই প্রয়োজনীয় অর্থবল। আপনার প্রতি এই আমাদের ছোট্ট আহ্বান। ০১৯২২৭৩০০০১ (তথ্য ও বিকাশ) বিস্তারিত পড়ুনঃ আমাদের কথা
ছবিটি জুম করে দেখুন |
No comments:
Post a Comment