পাঠক! বাংলা ভাষায় সুবৃহৎ বিশুদ্ধ ইসলামী সাইটে আপনাকে স্বাগতম। সহীহ কুরআন, সুন্নাহনির্ভর রেফারেন্স ও গবেষণাধর্মী প্রায় ২০০এর অধিক বিষয়ের অনন্য সমাহার। আমাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও অনুদান দিয়ে সাহায্য করতে পড়ুন এখানে

দাম্পত্য জীবন ও বিয়ে (কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস সঙ্কলন)

ইসলামিক রেডিও
v  ‘‘তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ, আর তোমরাও তাদের জন্য পোশাক স্বরূপ।’’ [সুরা বাক্বারা, ১৮৭]
অর্থাৎ, স্বামী স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। এক অবিচ্ছিন্ন অংশ।
v ‘‘যদি তোমরা নিজেদের সংশোধন করো ও সংযমী হও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’’ [সুরা নিসা, ১২৯]
অর্থাৎ, দাম্পত্য জীবনে খুঁটিনাটি নানা মনোমালিন্য, অঘটন, কলহ আসতেই পারে,    সেক্ষেত্রে দুজনার সংশোধনী মানসিকতা ও সংযমী আচরণ অবলম্বন করা উচিত।
v ‘‘স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করো। যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছো, যাতে আল্লাহ অনেক কল্যাণ রেখেছেন।’’ [সুরা নিসা, ১৯]
অর্থাৎ, স্ত্রীদের সাথে সদাচারক করার আদেশ করা হয়েছে। যদি তাদের কোনো আচরণ অপছন্দীয় হয় তবে হুটহাট ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সংশোধনের চিন্তা করা উচিত।

v ‘‘স্ত্রীদের উপর যেমন পুরুষদের যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনি পুরুষদের উপরও স্ত্রীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার রয়েছে। আর নারীদের উপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।’’ [সুরা বাক্বারা, ২২৮]
অর্থাৎ, একে অপরের প্রতি সমান অধিকার। শুধু একতরফা পুরুষ সুবিধা ভোগ করবে তা নয় বরং স্ত্রীর সুযোগ সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখা, তারও নিজস্ব কিছু অধিকার রয়েছে। তবে বরাবরই পুরুষরা নারীদের উপর শ্রেষ্ঠ। আবার নারীদের মর্যাদা পুরুষের তুলনায় প্রভূত বা বেশি।

v ‘‘পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এজন্য যে পুরুষ তাদের সম্পদ খরচ করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে রক্ষাকারিণী; আল্লাহর হেফাযতে তারা তা হিফাযত করে।’’ [সূরা নিসা, ৩৪]
অর্থাৎ, পুরুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে ঠিক তবে এর কারণ হলো, পুরুষরা নারীদের যাবতীয় ভরণ পোষণ দেবে। আর স্ত্রীদের উচিত হলো, স্বামীদের হক্ব রক্ষা করা। তার আদেশ মেনে চলা। মনোতুষ্টির সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

হাদীস থেকে-
v আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘‘পৃথিবী এক উপভোগ্য সামগ্রী এবং তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ উপভোগ্যের হচ্ছে পুণ্যময়ী নারী’’ [মুসলিম]
অর্থাৎ, হাদীসে সংক্ষেপে নারী জাতির মূল্য তুলে ধরা হয়েছে আর তা হলো পৃথিবীর সবচে দামি ও শ্রেষ্ঠ তারাই।

v হযরত আনাস রা. বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন—‘কোন বান্দা যখন বিয়ে করলো, তখন সে দ্বীনের অর্ধেকটা পূর্ণ করে ফেললো। অতঃপর সে যেন অবশিষ্ট অর্ধেকের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে। [মিশকাত শরীফ]
অর্থাৎ, বিয়ের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মাঝে স্থিরতা আসে। তখন তারা নির্বিঘ্নে ইবাদতে মনোনিবেশ করতে পারে। এমনিভাবে বাকি বিষয়গুলোর প্রতি সমান গুরুত্ব দেয়া নারী পুরুষের অবশ্য করণীয়।

v হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত। নবী সা. বলেছেন, আমি যদি কাউকে মানুষের সামনে কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য। [তিরমিযী]
অর্থাৎ, এখানে স্বামীর মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। সিজদার নিরঙ্কুশ অধিকারী একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। এরপর যদি পৃথিবীতে কাউকে আদেশ দেয়া হত তবে সেটা স্ত্রীর জন্য স্বামীকে সেজদা দেয়ার কথা বলা হত। এখানে উল্ল্যেখ্য, কোনো নবী রাসূলের কথা বলা হয়নি। তাই একজন স্ত্রীর নিকট স্বামী এতটাই মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী।

v হযরত উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে স্ত্রী এমন অবস্থায় মারা গেল যে, তার স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিযী]
অর্থাৎ, এখানে নারীর পুরষ্কারের কথা বলা হয়েছে। স্বামীর আনুগত্য মানেই জান্নাত অবধারিত। সন্তানের জন্য যেমন পিতা-মাতা জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম তেমনি স্ত্রীর জন্য তার স্বামী হতে পারে জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম। অন্যদিকে হাদীসটিতে স্ত্রীর মর্যাদার কথাও পরোক্ষভাবে বলা হয়েছে। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে সরাসরি জান্নাতের প্রতিশ্রুতি আসেনি যেভাবে একজন স্ত্রীর জন্য স্বামীর আনুগত্যের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। সুতরাং, এটি নারী জাতির আরেকটি মর্যাদা।

v ইমাম আহমদ আয়শা রা. হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. একবার তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, হে আয়শা! তুমি কোমলতা অবলম্বন করো; কেননা আল্লাহ তায়ালা যখন কোনো পরিবারের কল্যাণ চান তখন তাদেরকে কোমলতার পথ দেখান, অন্য এক বর্ণনা মতে- আল্লাহ যখন কোনো পরিবারের কল্যাণ চান, তিনি তাদের মধ্যে কোমলতার প্রবেশ ঘটান। [মুসনাদে আহমদ]
অর্থাৎ, দাম্পত্য জীবনে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই নরম, কোমলতার পথ অবলম্বন করা উচিত। আর এটিই আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। যত কিছুই হোক, রাগারাগি, বদমেজাজি, চেচামেচি, মনোমালিন্যের চেয়ে দুজনার কোমলতার পথ বেছে নেয়াই অধিক উত্তম হবে। আর এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে।

v রাসূল সা. বলেন- স্বামী যদি তার স্ত্রীকে পানি পান করিয়ে দেয়, এর বিনিময়েও সে প্রতিদান বা সওয়াব লাভ করে। [মুসনাদে আহমদ]
অর্থাৎ, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সহানুভূতি, ভালোবাসা, অবদান এসব কিছু বৃথা যায় না, বরং প্রতিটি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে ছওয়াবও অর্জন হবে। এখানেও নারীর সম্মানের কথা আলোচিত হয়েছে।

v আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা পূর্ণ মুমিন ঐ ব্যক্তি যে চরিত্রে সবার চেয়ে সুন্দর, আর তাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি, যে নিজের স্ত্রীর কাছে সর্বোত্তম।’’ [তিরমিযী]
অর্থাৎ, স্ত্রীর কাছে স্বামীর চারিত্রিক সনদের কথা বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি নিজ কাছে ভালো সে ব্যক্তি প্রকৃতই ভালো। এখানেও পরোক্ষভাবে স্ত্রীর মর্যাদাই এসেছে। একজন মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির স্বীকৃতি অবলীলায় নারীদের অধিকারে দেয়া হয়েছে।

v হযরত আয়শা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, নারীর উপর সর্বাধিক অধিকারওয়ালা হচ্ছেন তার স্বামী। আর পুরুষের উপর সর্বাধিক অধিকারওয়ালা হচ্ছেন তার মাতা। [আল-মুস্তাদরক]
অর্থাৎ, স্ত্রীর উপর স্বামীর মর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলা হয়েছে এখানে। আবার সন্তানের প্রতি একজন মা-ই সবচেয়ে বেশি কর্তৃত্বশীল।

v আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন-‘‘তোমরা তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কেননা তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’’ [বুখারী]
অর্থাৎ, এখানে নারীদের ঔদ্ধত্য আচরণের কথা বলা হয়েছে। তারা স্বাভাবিকভাবেই বাঁকা স্বভাবের। তাই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাদেরকে উত্তম উপদেশ প্রদান করতে হবে।

v ইবনে আহ্ওয়াস জুশামী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বিদায় হজ্জে নবী সা. কে বলতে শুনেছেন, ‘‘তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর। তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, অনুরূপ তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় ওই সব লোককে আসতে না দেয় যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন ঐসব লোককে তোমাদের বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয় যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। আর শোনো, তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তাদেরকে ভালোরূপে খেতে-পরতে দেবে। [তিরমিজি]
অর্থাৎ, এখানে স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে। স্বামীর অপছন্দীয় ব্যক্তি, কাজ এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখা ও স্বামীর বিশ্বাস রক্ষা করা স্ত্রীর কর্তব্য। আর স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীর প্রতি খেয়াল করা। তার প্রয়োজন মেটানোর ব্যাপারে সোচ্চার থাকা।

v  আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘কোন ঈমানদার পুরুষ যেন কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা না করে। যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।’’ [মুসলিম]
অর্থাৎ, স্ত্রীকে ঘৃণার চোখে না দেখা। যদিও তাদের কিছু কাজকর্ম খারাপ লাগে। তাদের এক কাজ খারাপ লাগলেও অন্য কাজ ভালো লাগতে পারে।

v  মুআবিয়াহ ইবনে হাইদাহ রা. বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বললাম, হে আল্লাহ রাসূল! আমাদের কারো স্ত্রীর অধিকার স্বামীর উপর কতটুকু? তিনি বললেন, ‘‘তুমি খেলে তাকে খাওয়াবে এবং তুমি পরলে তাকে পরাবে। (তার) চেহারায় মারবে না, তাকে কুৎসিত হও বলবে না এবং তার থেকে পৃথক থাকলে বাড়ির ভিতরেই থাকবে।’’ (অর্থাৎ অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার জন্য বিছানা পৃথক করতে পারা যাবে, কিন্তু রুম পৃথক করা যাবে না।)
·         কুৎসিত হ বলবে না। অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে কুৎসিত করুক বলে অভিশাপ দেবে না। [আবু দাউদ]
অর্থাৎ, স্বামীর উচিত স্ত্রীর ভরণ পোষণ যথোচিতভাবে দেয়া। এবং তাকে মারধর বা গালাগালি না করা। একান্ত স্ত্রী অবাধ্য হলে মারধর বা গালিগালাজ ব্যতীত স্ত্রীর বিছানা আলাদা করে দেবে অর্থাৎ এক বিছানায় থাকবে না তখন।

v রাসূল সা. বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালোবাসবে এবং আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণা করতে তার ঈমান পূর্ণতা লাভ করবে।’’ [বুখারী]
অর্থাৎ, এখানে ভালোবাসার স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর পবিত্র বন্ধন ও ভালোবাসাও যেন একমাত্র আল্লাহর জন্যই হয়।

v আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, ‘‘স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া কোনো নারীর জন্য নফল রোযা রাখাও বৈধ নয় এবং স্বামীর সম্মতি ব্যতীত তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়াও তার জন্য বৈধ নয়।’’ [বুখারী]
অর্থাৎ, স্বামীর একান্ত বাধ্যতার কথা বলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মান্যতার কথা বলা হয়েছে। এমনকি নফল রোজার মতন শুভকাজও স্বামীর অনুমতি ছাড়া করা অনুচিত স্ত্রীর জন্য। এবং ঘরে কোনো আগন্তুককে স্বামীর অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। নিজের ইজ্জাত আব্রুকে হেফাজত করতে হবে। সম্পূর্ণ পর্দা পালন করতে হবে।

v আবূ হুরাইরাহ রা. বলেনরাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিজ বিছানায় ডাকে এবং সে না আসেঅতঃপর সে (স্বামী) তার প্রতি রাগান্বিত অবস্থায় রাত কাটায়তাহলে ফিরিশতাগণ তাকে সকাল অবধি অভিসম্পাত করতে থাকেন।’’ (বুখারীমুসলিম)
v আর এক বর্ণনায় আছে যে, ‘‘সেই আল্লাহর কসমযাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে নিজ বিছানার দিকে আহ্বান করার পর সে আসতে অস্বীকার করলে যিনি আকাশে আছেন তিনি (আল্লাহ) তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেনযে পর্যন্ত না স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যায়।’’
অর্থাৎ, স্বামী তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বা মিলনের জন্য আহ্বান করলে স্ত্রী তাতে স্বেচ্ছায় অসম্মতি জানানো বড় অন্যায়। খোদ আল্লাহ সুব. এতে নারাজ হোন।

v মুআয ইবন জাবাল কর্তৃক বর্ণিতনবী সা. বলেন, ‘‘যখনই কোনো মহিলা দুনিয়াতে নিজ স্বামীকে কষ্ট দেয়তখনই তার সুনয়না হূর (জান্নাতী) স্ত্রী (অদৃশ্যভাবে) ঐ মহিলার উদ্দেশ্যে বলে, আল্লাহ তোকে ধ্বংস করুন। ওকে কষ্ট দিস্ না। ও তো তোর নিকট সাময়িক মেহমান মাত্র। অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের কাছে এসে যাবে।’’ (তিরমিযী)
অর্থাৎ, বদকার স্ত্রী স্বামীকে কষ্ট দিলে জান্নাতের হুররাও অসন্তুষ্ট হোন। এবং দুনিয়ার জীবন শেষে সে তো জান্নাতে চিরস্থায়ী সঙ্গীনী হুরদের সাথে মিলিত হবে। দুনিয়াতে বদদার স্ত্রীর সহিত সামান্য দিন অতিবাহিত করবে মাত্র।

v ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, ‘‘প্রতিটি মানুষই দায়িত্বশীল, সুতরাং প্রত্যেককে অবশ্যই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।...একজন পুরুষ তার পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল, তাকে তার দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জবাবদিহিতা করতে হবে। স্ত্রী তার স্বামী ও সন্তানের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে।’’ [বুখারী]
অর্থাৎ, সবশেষ এখানে স্বামী-স্ত্রী, নারী পুরুষ সবার অধিকার ও কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে। সবাই সবার জায়গা থেকে আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে। সুতরাং, সবার উচিত নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করা। তাকওয়ার পথ অবলম্বন করা। পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে সর্বাবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জন করার চেষ্টা করা। 

আল্লাহ ‍সুব. সকল দাম্পত্য জীবনকে ‍সুখময় করুন। শয়তানের চক্রান্ত ও ওয়াসওসা থেকে হেফাজত করুন। দুনিয়ার ন্যায় জান্নাতেও একসাথে থাকার তৌফিক দান করুন।

সংকলনেঃ ফজলে রাববি

এরকম আরো লেখা পড়ুন-
আরো পড়ুনঃ কুরআন ও হাদীসের আলোকে জান্নাত লাভের উপায়সমূহ


একটি আবেদন


বাংলা ভাষায় একটি শক্তিশালী ও মানসম্মত অনলাইন রেডিও প্রতিষ্ঠা সালাম মিডিয়ার লক্ষ্য। এছাড়াও একটি স্টুডিও প্রতিষ্ঠা, গবেষণা, প্রচার, দাওয়াহ প্রভৃতি কাজের আঞ্জাম দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যার জন্য শুধু প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন প্রায়। প্রথমত, আপনার দোয়া। দ্বিতীয়ত, আপনার সহযোগিতা আমাদের পথচলার পাথেয়। আপনি প্রবাসী হলে মাসে অন্তত দশ ডলার বা বাৎসরিক হিসেবে দশ হাজার করে নূন্যতম হারে হলেও আমাদের এই অগ্রযাত্রায় শরীক হতে পারেন। কিংবা একজন ব্যক্তিই সামর্থ অনুযায়ী আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন।


আমাদের রয়েছে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবলশুধু নেই প্রয়োজনীয় অর্থবল। আপনার প্রতি এই আমাদের ছোট্ট আহ্বান। ০১৯২২৭৩০০০১ (তথ্য ও বিকাশ) বিস্তারিত পড়ুনঃ  আমাদের কথা
ছবিটি জুম করে দেখুন

No comments: