ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল(রহঃ) বলেছেন, যে
ব্যক্তি আলস্যবশত সলাত (নামাজ) পড়লো না,
সে
কাফির। এটিই বিশুদ্ধ মত যা কুরআন-সুন্নাহ ও পূর্বযুগের আলিমদের থেকে প্রমাণিত।
[শারহুল মুমতি আলা যাদুল মুস্তাকনি ২/২৬]
ইবন হাজম(রহঃ) বলেন: “আমাদের কাছে উমর বিন খাত্তাব (রাঃ), মুয়াজ
বিন জাবাল (রাঃ), ইবনে মাসউদ (রাঃ) সহ একদল
সাহাবী থেকে
এবং ইবনুল মুবারক, আহমাদ বিন হাম্বল, ইসহাক বিন রাহুইয়া এবং ঠিক ১৭ জন সাহাবী থেকে এই মর্মে বর্ণনা এসেছে যে, মনে থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয নামায বর্জনকারী কাফের ও মুরতাদ। এ অভিমত পোষণ করেন, ইমাম মালেকের শিষ্য আব্দুল্লাহ বিন মাজিশুন। এ মত ব্যক্ত করেন, আব্দুল মালিক বিন হাবিব আল-আন্দালুসি প্রমুখ।”
এবং ইবনুল মুবারক, আহমাদ বিন হাম্বল, ইসহাক বিন রাহুইয়া এবং ঠিক ১৭ জন সাহাবী থেকে এই মর্মে বর্ণনা এসেছে যে, মনে থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয নামায বর্জনকারী কাফের ও মুরতাদ। এ অভিমত পোষণ করেন, ইমাম মালেকের শিষ্য আব্দুল্লাহ বিন মাজিশুন। এ মত ব্যক্ত করেন, আব্দুল মালিক বিন হাবিব আল-আন্দালুসি প্রমুখ।”
[আল-ফাসলু ফিল মিলাল ওয়াল আহওয়া ওয়ান নিহাল
৩/১২৮]
তিনি আরও বলেন: “উমর (রাঃ), আব্দুর
রহমান বিন আউফ (রাঃ), মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ), আবু
হুরায়রা (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবীর মত বর্ণিত আছে যে, “যে
ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্ত ফরয নামায ত্যাগ করে, এক
পর্যায়ে ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় সে ব্যক্তি কাফের ও মুরতাদ”
[মুহাল্লা ২/১৫]
শাইখ বিন বায(রহঃ) এর নেতৃত্বাধীন ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি
এই অভিমতের পক্ষে ফতোয়া দিয়েছেন।
[ফাতাওয়াল লাজনা আদ-দায়িমা ৬/৪০,৫০]
ইমাম মুহাম্মদ বিন নাসর আল-মারওয়াযি (রহঃ) বলেন: “আমি ইসহাককে বলতে শুনেছি:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহিহ সনদে হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে যে, নামায
বর্জনকারী কাফের। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানা থেকে আজ পর্যন্ত
আলেমদের মতামত হচ্ছে- যে ব্যক্তি কোন ওজর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ত্যাগ করে; এক
পর্যায়ে ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় সে ব্যক্তি কাফের। ওয়াক্ত শেষ হবে যোহরকে সূর্যাস্ত
পর্যন্ত বিলম্ব করার মাধ্যমে এবং মাগরিবকে ফজরের ওয়াক্ত পর্যন্ত বিলম্ব করার
মাধ্যমে।
আমরা নামাযের শেষ ওয়াক্তকে এভাবে উল্লেখ করলাম কারণ নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফার ময়দানে, মুযদালিফার
মাঠে ও সফর অবস্থায় দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করেছেন। এক ওয়াক্তের নামায
অন্য ওয়াক্তে আদায় করেছেন। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন এক প্রেক্ষাপটে
পরের ওয়াক্তের নামাযকে প্রথম ওয়াক্তে আদায় করেছেন এবং প্রথম ওয়াক্তের নামাযকে পরের
ওয়াক্তে আদায় করেছেন এর থেকে জানা গেল যে,
ওজরের
ক্ষেত্রে এ দুই নামাযের ওয়াক্ত অভিন্ন। যেমনিভাবে কোন ঋতুবতী নারী যখন সূর্য ডোবার
পূর্বে হায়েয থেকে পবিত্র হয় তখন তাকে যোহর ও আসর দুই ওয়াক্ত নামায আদায় করার
নির্দেশ দেয়া হয়। যদি শেষ রাতে পবিত্র হয় তাহলে তাকে মাগরিব ও এশা দুই ওয়াক্তের
নামায আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়।
[তাযিমু কাদরিস সালাত ২/৯২৯]
No comments:
Post a Comment