‘আল্লাহ’ একটি আরবি শব্দ। এ শব্দটি এমন এক সত্তার জন্যে নির্ধারিত, যিনি অবশ্যম্ভাবী অস্তিত্বের অধিকারী, যিনি যাবতীয় পবিত্রতা, পরিপূর্ণতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতার গুণাবলিতে ভূষিত এবং সকল প্রকার
অসম্পূর্ণতা, অপবিত্রতা ও যাবতীয় দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত।
সর্বোপরি যিনি
এসব গুণাবলির একমাত্র অধিকারী। অর্থাৎ, যিনি ব্যতীত এসব গুণাবলির অধিকারী অপর কেউই নেই, তিনিই হলেন আল্লাহ। সর্বময় ক্ষমতার
মালিক ও শক্তির একক আধার।
আল্লাহ ছাড়া এরূপ মর্যাদায়
মর্যাদাবান আর কেউ নেই। এক্ষেত্রে তিনি একক, অনন্য। তার সমকক্ষ ও সমতুল্য কেউ নেই এবং থাকতে পারে না। তিনি তার সত্তা, গুণাবলি ও কার্যাবলির ব্যাপারে এক কথায় সর্বদিক থেকে একক, অনন্য ও অদ্বিতীয়। তাই তিনি শির্ক
থেকে যেমন পবিত্র, তেমনি মুক্ত ও পবিত্র সৃষ্টির
সাথে যাবতীয় সাদৃশ্যতা থেকে। বিশ্বজগতের
তিনিই একমাত্র স্রষ্টা, তিনিই একমাত্র অবশ্যম্ভাবী সত্তা (ওয়াজিবুল ওজুদ)। যাবতীয় সৃষ্ট
বস্তুর সাথে সাদৃশ্য থেকে তিনি পবিত্র। মোটকথা, গোটা সৃষ্টিজগতের কেউ কোন দিক থেকে তাঁর মত নয়। তাঁর সাথে
কারোই যেমন কোন প্রকার তুলনা হয় না, তদ্রুপ কোন কিছুর সাথে তাঁরও সামান্যতম তুলনা বা সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তা‘য়ালা ‘আলআহাদ’ তথা একক ও অনন্য হওয়ার প্রকৃত অর্থ এটাই। তাঁর সম্পর্কে এরূপ আকিদা বিশ্বাস পোষণ করাকেই ইসলামের পরিভাষায় বলা হয় ‘তাওহীদ’। আর এটাই ইসলামের প্রথম ও প্রধান ভিত্তি।
আল্লাহ কোন বস্তু নন এবং তাঁর
গুণ-রাজি শুধু তাঁরই জন্য। তাঁর কোন গুণই অপর কারো মধ্যে
কল্পনা করা যায় না। আল্লাহকে জানবার অসংখ্য পন্থা তাঁর সৃষ্টিজগতে উপস্থিত আছে। বিশ্বজগতের সকল
সৃষ্টির মাঝেই মূলত: আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্বের
নিদর্শন বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে নিজ পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন -
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا
هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي
السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا
بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ
بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ
وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ. ( البقرة
: 254 )
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা
স্পর্শ করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে বা পিছনে যা কিছু
রয়েছে, তিনি তার সবই জানেন। তাঁর
জ্ঞান-সীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত
করতে পারে না-তবে যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর আসন (সার্বভৌম
ক্ষমতা) সমস্ত আসমান ও জমিনকে
পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান। সুরা বাকারা (আয়াতুল কুরসি), আয়াত নং ২৫৪।
তিনি আরও বলেছেন -
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ
الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴾ الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ
وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ
الْغَفُورُ ﴾ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ طِبَاقًا مَا تَرَى فِي خَلْقِ
الرَّحْمَنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِنْ فُطُورٍ ﴾ ثُمَّ
ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ
حَسِيرٌ. ( الملك: 1-4 )
পুণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব বা সর্বময় ক্ষমতা। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান, যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে
তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমতাময়।তিনি সপ্ত আকাশকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ
তা‘আলার সৃষ্টিতে কোন খুঁত দেখতে পাবে
না। আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ভ্রান্তি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকেই ফিরে
আসবে। (সুরা মুলক ১-৪ আয়াত)
নাস্তিকরা আল্লাহ তা‘আলাকে
অস্বীকার করার যুক্তি হিসেবে কতগুলো উদ্ভট
ও অযৌক্তিক প্রমাণাদি পেশ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে থাকে। তারা বলে-‘‘আল্লাহকে কেউ দেখে না, ধর্মের ধ্বজাধারীরা সাধারণ মানুষকে শোষণ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহর একটা ধারণা প্রসূত মতবাদ দাঁড় করানোর জন্য
অদেখা-অদৃশ্য জগৎ সম্পর্কে মনগড়া কথাবার্তা চালু করে
রেখেছে। জীবন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা এখন আর অসম্ভব নয় বলে অবৈজ্ঞানিক অস্পষ্ট চিন্তাধারার বিশ্বাস করারও কোন
প্রয়োজন নেই। ভীতি প্রদর্শনের
জন্য পরকালের কঠোর আজাবের কথা আর ভোগ লালসার আশ্বাসবাণীর জন্য স্বর্গ-এগুলো ধর্মেরই তৈরি, যার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারা যা অনুভব করা যায় না, তা কীভাবে বিশ্বাস করা যেতে পারে? আল্লাহ নামক এই ধারণা মানুষেরই
সৃষ্টি। মূলত: আল্লাহ বলতে কিছু নেই।’’ নাউযুবিল্লাহ (আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই)।
নাস্তিকদের মোটামুটি যুক্তিগুলো এ
ধরনেরই। এসব কথাকেই নানাভাবে, নানা ভঙ্গিতে তারা পেশ করার চেষ্টা করে। অথচ তারাই
আবার এমন সব জিনিস সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর
দিতে চায় না-যা আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত অনুভব করি ও বিশ্বাস করি। অদেখা হাজারো জিনিস আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করে, না দেখে বিশ্বাস করি। মানুষের জ্ঞান
সীমাবদ্ধ। দেয়ালের অপর পাশে কী আছে, তা দেখার শক্তি আমাদের নেই। ধোয়ার কুণ্ডলী
দেখলেই আমরা বুঝতে পারি পাশের বাড়িতে আগুন লেগেছে। আগুনের লেলিহান শিখা কিন্তু আমরা দেখিনি, দেখেছি তার নিদর্শন। তাতেই আমাদের বিশ্বাস হয়েছে-ওখানে অবশ্যই আগুন আছে। তখন কিন্তু আমরা
যুক্তি দিতে চেষ্টা করি না যে, না, আগুনতো দেখা যাচ্ছে
না। তাই বিশ্বাসও করব না। এ যুগের অনেক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ইলেক্ট্রনিক, ইথর, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন-আরো অনেক জিনিস আমরা শুধু নিদর্শন দেখেই বিশ্বাস
করে থাকি। রেডিওর আওয়াজ, বিদ্যুতের আলো আর শ্বাস-প্রশ্বাসের নির্গত ও বহির্গত বায়ুও আমরা দেখি না, শুধু অনুভব করি। কেউ কি বলতে পারে যে এসব অদৃশ্য কথাবার্তায় আমরা বিশ্বাস করব না। এগুলো আমাদের দেখতে
হবে। তবেই মাত্র বিশ্বাস করা যাবে। এ ছাড়াও বলা যায়, আগামী কিছুদিন পরই আরম্ভ হচ্ছে ২০২০
সালের বর্ষ বরণ উৎসব। তা শুনে আমরা সবাই বিশ্বাস করেছি। এটা কেন বলা হচ্ছে না
যে- ২০২০ সাল আসুক, উৎসব উদ্যাপিত হক, তারপর বিশ্বাস করব-এখন না দেখে
কীভাবে বিশ্বাস করব? ক্রুজ মিসাইল আমরা দেখি না। কিন্তু আছে, তা বিশ্বাস করি। এখানে এ প্রশ্ন করি না কেন-দেখি না তাই বিশ্বাসও করব না। তাহলে
স্রষ্টার এ বিশাল জগৎটা এত সুন্দর ও সুবিন্যস্ত আর সুশৃঙ্খল দেখেও কেন আমরা তাঁর শক্তিধর সূক্ষ্ম কারিগর সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করব? আহম্মকী-বোকামি আর বিকৃতিরও
একটা সীমা আছে।
মানুষ ব্রেনের করণেই সৃষ্টির সেরা
জিব-আশরাফুল মখলুকাত। কিন্তু এ ব্রেন থাকা সত্ত্বেও এর অপব্যবহার করে সে যদি
নিজেকে গরু-ভেড়া আর ছাগলের স্তরে নামিয়ে পশুর লাইনে
দাঁড়াতে চায় তাহলে কে তাকে রক্ষা করতে পারে ! এসব বিকৃতমনা তথাকথিত বৈজ্ঞানিক বা দার্শনিকরা মূলত: নিজেরাই নিজেদের জন্তু জানোয়ারের
স্তরে নিয়ে গেছে। আমাদের দেশে সেই ‘অ-কবরী’ বুদ্ধিজীবীদের এখনও যারা শ্রদ্ধা জানাতে ব্যস্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা দরকার, ওরা যখন আবার ঢাকার আবহাওয়াকে দূষিত-কলুষিত করার চেষ্টা করবে তখনও কি এরা ছুটে যাবে সেখানে নাকে কাপড়
গুঁজে ওদের শ্রদ্ধা জানাতে? মূলত: এদেরকে লক্ষ করেই কোরআন বলেছে-
خَتَمَ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى
أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ (البقرة :7 )
তাদের হৃদয় ও কর্ণকুহরে সিল মেরে
দেওয়া হয়েছে আর তাদের চক্ষুর সম্মুখে ছড়িয়ে
দেওয়া হয়েছে অন্ধত্ব। (সুরা বাকারা :৭)
ঐ অ-কবরীর এ জ্বলন্ত আজাব দেখেও তারা দীক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না, এটাই বিস্ময়ের ব্যাপার।
কিছু মানুষ চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্টতর
আল্লাহ রব্বুল আলামিন মানুষের
নিজের শরীরের মধ্যে তার অস্তিত্বের বহু নিদর্শন
রেখে দিয়েছেন। বিস্মিত হতে হয় যখন কেউ গভীরভাবে তার নিজস্ব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর চিন্তা করে। সামান্য একটি
অঙ্গকে বিশ্লেষণ করলেই সে স্রষ্টার অস্তিত্বে
বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে। এসব কথা ভাবলে কোন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ছাড়াও যে কোন বিবেকবান লোক অনায়াসেই আল্লাহর অস্তিত্বের বিশ্বাসী
হতে বাধ্য। হৃৎপিণ্ডের চালিকাশক্তি
ঠিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে। এক মুহূর্তও এর গতি বন্ধ হয়নি। চলছে আর চলছে। কে এ মেশিনটাতে রক্ত
সঞ্চালন করছে? এ ধরনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম শারীরিক মেশিনসমূহ
দিন-রাত ক্রমাগত চলছে, কোন বিরতি নেই। সৃষ্টিকর্তাকে
অস্বীকারকারী নাস্তিক আর তাঁর আনুগত্যকারী মোমিন একই ভাবে এর দ্বারা বেঁচে আছে। আরও অসংখ্য মেশিন তার শরীরের প্রতিটি
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রতিনিয়ত সেবায় নিয়োজিত। এসব নিদর্শন
রয়েছে তার অতি নিকট এবং নাগালের মধ্যে। কিন্তু আল্লাহ যাকে অন্ধ বানিয়েছেন, সে কি আর দু চোখ মেলে কিছু দেখতে পায়? এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বলেছেন
চক্ষুষ্মান আর কাফেরদের বলেছেন অন্ধ। কাফির শব্দটা কোন ফতোয়া নয়। এর অর্থ হচ্ছে
অস্বীকারকারী। ঠিক দুপুর সময়ে মধ্য আকাশে যখন সূর্য থাকে, তখন যদি কোন লোক বলে এখন
রাত্রি-দ্বিপ্রহর, তখন তাকে আপনি কি বলবেন? মূলত: এরা বোকা, অজ্ঞ আর জন্তু-জানোয়ারের মত। নিজেদের তারা
যতই বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মনে করুক না কেন।
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ
لَهُمْ قُلُوبٌ لَا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَا يُبْصِرُونَ بِهَا
وَلَهُمْ آَذَانٌ لَا يَسْمَعُونَ بِهَا أُولَئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ
أَضَلُّ أُولَئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ (الأعراف: 179 )
আমি অনেক জিন ও মানুষকে দোজখের
জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের অন্তর রয়েছে, তারা তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা তারা দেখে না আর তাদের কান
রয়েছে, তার দ্বারা শুনে না, তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত, বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। (সুরা আরাফ: ১৭৯)
ওয়েব গ্রন্থনা : আবুল কালাম আযাদ আনোয়ার । সার্বিক যত্ন :
আবহাস এডুকেশনাল এন্ড রিসার্চ সোসাইটি, বাংলাদেশ।
প্রিয় পাঠক, বাংলা ভাষায় একটি মানসম্মত রেডিও প্রতিষ্ঠার জন্য সালাম মিডিয়া কাজ করছে। আমাদের এই যাত্রায় আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আপনিও হতে পারেন দ্বীন প্রচারের একজন সহযোগী। বিস্তারিত পড়ুনঃ আমাদের কথা
প্রিয় পাঠক, বাংলা ভাষায় একটি মানসম্মত রেডিও প্রতিষ্ঠার জন্য সালাম মিডিয়া কাজ করছে। আমাদের এই যাত্রায় আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আপনিও হতে পারেন দ্বীন প্রচারের একজন সহযোগী। বিস্তারিত পড়ুনঃ আমাদের কথা
ছবিটি জুম করে দেখুন |