"বৈশাখ" শব্দটি এসেছে বিশাখা নামক
নক্ষত্রের নাম থেকে। এই মাসে বিশাখা নক্ষত্রটিকে সূর্যের কাছে দেখা যায়। (বাংলা
ইউকিপিডিয়া) এদিকে বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান
বলছে, বিশাখা : 1) রাধিকার একজন সখী।
2) সাতাশ নক্ষত্রের একটি।
বিশাখা শব্দটি এসেছে বিশাখ থেকে। বিশাখ : হিন্দুদেবতা কার্তিকেয়। (পৃ.-885) বৈশাখী : বিশাখা নক্ষত্রযুক্ততা।
সুতরাং রবীন্দ্রনাথ যখন ‘এসো হে বৈশাখ’ বলে ডাকেন, তিনি কিন্তু নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই তার দেবতাকে ডাকেন। তার এ আহ্বান তার ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী বলে
তিনি তার ধর্মে সাধুবাদ পাবারযোগ্য।
কিন্তু একজন মুসলিম যখন বিখ্যাত এ গানে সুর
তোলেন বা সুর মেলান তখন সেটি শিরক বলে গণ্য হওয়ার বিকল্প থাকে না। আপনি এ গানের
পরবর্তী লাইনগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লেই নিশ্চিত হতে পারবেন যে এটি স্রেফ একটি
প্রার্থনা। দুঃখ-বেদনা, দুঃসংবাদ, দুর্ভাগ্যসহ
যাবতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যাতে দূর হয়ে শুভক্ষণ যেন আসে সে প্রার্থনাই করা
হয়েছে এতে। এ ধরনের প্রার্থনা কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে করেন সেটিকে
কুরআন-হাদিসে অসংখ্য জায়গায় সরাসরি শিরক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ‘কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে
অন্য কাউকে ডেকো না।’ (সূরা
জিন : ৭২/১০)
‘আর
আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না আর ক্ষতিও
করতে পারে না,
অতঃপর যদি তুমি এমন কাজ কর তাহলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত
হয়ে যাবে।’ (সূরা
ইউনুস : ১০/১০৬)
ছবিটি জুম করে পড়ুন |